মুর্শিদাবাদের হিংসার আবহে এবার বড় দাবি করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচ⛎ার্য। তিনি আজ অভিযোগ করলেন যে রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এরই সঙ্গে তাঁর দাবি, মুর্শিদাবাদ ছেড়ে হিন্দুরা পালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের ♊সমগ্র জনসংখ্যা কাঠামো বদলে গিয়েছে বলেও দাবি করেন শমীক। আর এর নেপথ্যে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। এই নিয়ে তিনি বর্তমানের তৃণমূল সরকার এবং আগের বাম সরকারকে তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যে যারা যখন শাসন করেছেন, তারা 'হিন্দুদের বোকা বানিয়েছে'।
গেরুয়া শিবিরের রাজ্যসভার ♋সাংসদ আজ বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে এবং মুর্শিদাবাদ থেকে এখনও মানুষজন ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। হিন্দুরা মুর্শিদাবাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছে🧜... আমরা আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে বলে আসছি যে পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র জনসংখ্যা কাঠামো বদলে গিয়েছে। এটা একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ...পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিচ্ছেন।'
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মুর্শিদাবাদের হিংসায় বাংলাদেশের জঙ্গিদের উস্কানি আছে বলে দাবি করা হয়েছিল এএনআই-এর রিপোর্টে। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করেই♔ সেই দাবি করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট নিয়ে আবার মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিএসএফ-কে দোষ দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, বিএসএফ ঝামেলা পাকিয়েছে এবং বিদেশি জঙ্গিদের সীমান্ত পার করতে সাহায্য করেছে।
প্র💛সঙ্গত, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল꧃ থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী বিধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়♑। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।