সম্প্রতি ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল শতাধিক মামলার আবেদন। এই আবহে শীর্ষ আদালতে শুনানিও হয় সেটা নিয়ে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরাসরি এই আইনে স্থগিতাদেশ না দিলেও তা নিয়ে বেশ কিছু 'নেতিবাচক' পর্যবেক্ষণ করেছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি। এই আবহে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে। এদিকে বিচারপতিদের এক্তিয়ার নিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতারা তোপ দেগেছেন। এই সবের মাঝে এবার সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। (আরও পড়ুন: 'পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলেছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে', বিস্ফোরক ཧবঙ্গ BJP সাংসদ)
আরও পড়ুন: লাভ জিহাদের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে দুই সম্পღ্রদায়ের সংঘর্ষ, আগুন জ্বলল বাড়ি-দোকানে
আজ বার্তাসংস্থা এএনআইকে নিশিকান্ত দুবে বলেন, 'দেশে ধর্মীয় যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী। সুপ্রিম কোর্ট তার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যদি সবকিছুর জন্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়, তাহলে সংসদ এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।' তিনি বলেন, 'নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে আপনি কীভাবে নির্দেশনা দিতে পারেন? রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। সংসদ এই দেশের আইন প্রণয়ন করে। আপনি কি সেই সংসদকে নির্দেশ দেবেন?... আপনি কীভাবে একটি নতুন আইন তৈরি করছেন? কোন আইনে লেখা আছে যে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? এর মানে হল আপনি এই দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চান। যখন সংসদ বসবে, তখন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।' (আরও পড়ুন: দুই আইএসআই জঙ্গি মডিউলেরꦇ পর্দাফাঁস, গ্রেফতার এক নাবালক সহ ১৩ জঙ্গি)
এদিকে ৩৭৭ ধারা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও মন্তব্য করেন নিশিকান্ত। তিনি বলেন, 'সংবিধানের ৩৭৭ ধারায় সমকামিতাকে একটি বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে এই পৃথিবীতে মাত্র দুটি লিঙ্গ আছে, হয় পুরুষ না হয় মহিলা... হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন বা শিখ, সকলেই বিশ্বাস করে যে সমকামিতা একটি অপরাধ। এক সুন্দর সকালে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আমরা এই মা🗹মলাটি বাতিল করছি... ধারা ১৪১ বলছে যে আমরা যে আইন তৈরি করি, যে রায় দিই, তা নিম্ন আদালত থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত প্রযোজ্য। ৩৬৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সংসদের সকল আইন প্রণয়নের অধিকার রয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের আইন ব্যাখ্যা করার অধিকার রয়েছে।'
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইনের সাম্প্রতিক সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকটি আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। তাতে আবেদনকারীরা বলছেন যে এই সংশোধিত আইনে 'ওয়াকফ বাই ইউজার'-এর মতো ধারা এবং ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির বিধান সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট আশ্বাস চেয়েছিল যে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড বা♍ কাউন্সিলে কোনও অমুসলিম নিয়োগ করা হবে না এবং ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপিত ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে কোনও অমুসলিম নিয়োগ করা হবে না। পাশাপাশি জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই সম্পত্তির মর্যাদার কোনও পরিবর্তন না করতে। এদিকে সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক জবাব এবং সম্পর্কিত নথি দাখিল করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। এই নিয়ে বিজেপি ক্ষুব্ধ।