দিন কতক আগে ইমামদের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফকে তোপ দেগেছিলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার জন্যে। বার্তাসংস্থা এএনআই-এর এক রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে মমতা দাবি করেছিলেন, হিংসা ছড়িয়েছে বিদেশি জঙ্গিরা। উল্লেখিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি এই হিংসার নেপথ্যে বিদেশি জঙ্গিদের প্ররোচনার কথা জানতে পেরেছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফকে তোপ দেগে বলেছিলেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীই সেই সব জঙ্গিদের মুর্শিদাবাদে ঢুকতে এবং হিংসার পর বেরিয়ে যেতে 'সাহায্য' করেছে। আর এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দাবি করলেন, মুর্শিদাবাদের হামলাকারীরা স্থানীয়। (আরও পড়ুন: 'পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যা🌳স বদলেছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে', বিস্ফোরক෴ বঙ্গ BJP সাংসদ)
আরও পড়ুন: দেশে ধর্মীয় যুদ্ধ উস্কে দে📖ওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী, দাবি বিজেপি সাংসদের
আজ বার্তাসংস্থা এএনআই-কে সুকান্ত বলেন, 'মুর্শিদাবাদের মহিলারা এলাকায় একটি স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানাচ্ছেন... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল বারবার বলছে যে সহিংসতা বহিরাগতদের দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয়রা বলছে যে অপরাধীরা স্থানীয় ছিল। একজন হিন্দু শিক্ষকের বাড়িতে তাঁরই ছাত্ররা ভাঙচুর করেছে... পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ; যতটুকু শান্তি আছে, তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির কারণে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথেই পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে... হিন্দুরা বাংলা থেকে দেশান্তরিত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বামপন্থীরা হিন্দুদের বোকা বানাতে থাকেন এবং পটভূমিতে ইসলামী মৌলবাদ অব্যাহত থাকে।' (আরও পড়ুন: লাভ জিহাদের 📖অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ, আগুন জ্বলল বাড়ি-দোকানে)
আরও পড়ুন: দুই আইএসআই জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস, গ্রꩲেফতার এক নাবালক সহ ১৩ জঙ্গি
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এই হিংসার জেরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কিশোর আছে। সে গত ১১ এপ্রিল গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। এদিকে ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা ✱হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। এই আবহে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলে তা না নেওয়ার ঘোষণা করেন নিহতের পরিবার। এদিকে এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএস🎐এফ।
এদিকে ১২ এপ্রিল ধুলিয়ান পুরসভাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সেদিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল এবং পরে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ধুলিয়ানে একটি শপিংমলেও লুটপাট চালানো হয়েছিল। এদিকে ফারাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আলির বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী ব🍌িধায়ককেও হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এছাড়া জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুরের অফিসেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মুর্শিদাবাদে হিংসার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।