মুর্শিদাবাদে হিংসা কবলিত জাফরাবাদে ক্ষোভের মুখে কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। তখন তাঁদের আটকে দেন পরিবারেরই এক সদস্য। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, 'আমার এখানে কোনও কিছুর দরকার নেই, আপনারা যেতে পারেন... ভাই দাদা বলে এখানে লাভ হবে না।' এরপর ইশা খানকে বলতে শোনা যায়, 'আমরা আগে আসতে চেয়েছিলা।' এরপর সেই ক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, 'আগে পড়ে বলে না, এখানে ক্ষতি হয়নি কোনও। আপনারা অন্য জায়গায় যান। এখানে কিছু হয়নি যেখানে খুন হয়েছে সেই রাস্তার ধারে যান। চার ঘন্টা ধরে পুলিশ আসেনি। এইসব প্রশ্নের জবাব দেবে কে?' (আরও পড়ুন: 'পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলেছে আন্তর্জাতিক ষড🐻়যন্ত্রে🎃', বিস্ফোরক বঙ্গ BJP সাংসদ)
আরও পড়ুন: দেশেꦺ ধর্মীয় যুদ্ধ উস্কে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট দায়ী, দাবি বিজেপি সাংসদের
এই আবহে দাস পরিবারের বাড়ির সামনে বসে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটর জন্যে মুর্শিদাবাদে এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তিনি বিজেপি এবং তৃণমূল, উভয়কেই আক্রমণ শানান। বলেন, 'বাক্স থেকে দেশলাই কাঠি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আর আগুন জ্বালাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। ওই পরিবার যা হারিয়েছে, তা কোনও টাকার বিনিময় পূরণ করা যাবে না।' (আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে হামলাকারীর🔜া কি বহিরাগত? BSF-কে মমতার তোপের পর বড় দাবি সুকান্তর)
এদিকে ইতিমধ্যেই এই🎃 জোড়া হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক জন। তাদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভিনজেলা থেকে তো কাউকে বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছ থেকে। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম হল ইনজামাম হক নামে এক ব্যক্তি। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এই ইনজামাম। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে যে এই ইনজামামের ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল হরগোবিন্দ এবং চন্দনের ওপরে। নিহতদের বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিন খুঁটিতে কাজ করা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। এই আবহে ধুলিয়ানে ওয়াকফ হিংসার আবহে হরগোবিন্দ ও তাঁর ছেলেকে ইনজামাম খুন করে বলে অভিযোগ উ﷽ঠছে। এদিকে ইনজামাম ছাড়াও এই খুনের ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজন। এই আবহে পুলিশ তজন্ত জারি রেখেছে।
এই জোড়া খুন নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার বলেন, 'তদন্তে বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া দুই ব্যক্তির পূর্বপরিচিত ছিল ধৃত ইনজামাম। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে এই মামলায়। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেই সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।' এদিকে ওয়াকফ হিংস൩ায় খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই ক্ষতিপূরণ তাঁরা নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন দাস পরিবারের সদস্যরা। ১৬ এপ্রিল হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। তবে শ্রাদ্ধের জন্যে পুরোহিত ও ক্ষৌরকারকে পর্যন্ত পাশে পাননি বলে অভিযোগ দাস পরিবারের। তাঁদের দাবি, আতঙ্কে কেউ আসেনি। তাই পুরোহিত ছাড়াই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয় হরগোবিন্দ এবং চন্দনের। এই আবহে হরগোবিন্দের স্ত্রী পারুল দাস জানিয়েছিলেন, তিনি মমতার ঘোষিত টাকা নেবেন না। এদিকে চন্দনের স্ত্রী পিঙ্কিও জানান, তিনি রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের টাকা নেবেন না। বরং তিনি গ্রামে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির দাবি জানান।